ভাঙা আগল
-সত্যদেব পতি
রাতের কুহেলিকা দ্বিতীয়ার চাঁদে কলঙ্কিত ছায়া,
বিশ্বাসের বাতাসে জমানো তুহিন…
হাজারো তারার ভীড়ে সন্ধ্যা বেলার জোনাকি
বৃক্ষ শাখায় চড়ুই পাখির কিচিমিচি নিঝুম রাতের ঘুম ভাঙায়।
নিশাচর পাখিটা ওৎ পেতে প্রহর গুনে মগডালে,
গোয়ালের পোষ্য তার জাবরে মগ্ন…
দুরে ঝোপের আড়ালে সরীসৃপের নাসিকা গর্জন।
জানলার কাঠামোতে ঘুন পোকার কর্কশ শব্দ আমি শুনি প্রতিটা বিনিদ্র রাতে,
রাত যত গভীর ভাবে আঁকড়ে বসে,
চাঁদের আলো কমে গিয়ে হয় জমাট আঁধার…
কান পেতে শুনি হেমন্ত শিশিরের শব্দ।
বাইরের চৌহদ্দির একটা মাত্র খোলা দরজা…
উত্তরের শীতল বাতাস এসে বলে তুমি বন্ধ কেন থাকো না?
আমি যখন আসি তুমি হাট হয়ে থাকো!
নীচু গলায় উত্তর আসে বন্ধ থাকবো কি ভাবে আমি যে ভাঙা আগলে দোল খাচ্ছি।